সিলেট ভ্রমণে সতর্কতা ও কিছু উপদেশ
# ছোটখাটো দুর্ঘটনার জন্য একটি ফার্স্ব এইড বক্স তৈরি করুন। এটা এমন কঠিন কিছু নয়। ছোট একটি বাক্সে একটি অ্যান্টিসেপটিক সলিউশন (ডেটল, স্যাভলন বা অন্য কিছু), কিছু গজ, ব্যান্ডেজ ও একটি পাতলা কাপড় নিন। সঙ্গে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ, ব্যথানাশক, গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ ও স্যালাইন নিতে পারেন।
# ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ট্যাবলেট বা ইনসুলিন, শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য ইনহেলার, উচ্চ রক্তচাপসহ অন্য রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ নিয়ে যেতে হবে।
# জাফলং দেখার আগে মাধবকুন্ড দেখা উচিত বলে আমি মনে করি। জাফলং দেখবেন লাষ্টের দিন, যখন ফিরবেন তখন যেন চোখে জাফলং ভেসে থাকে।
# লোকাল লোকজন অতিথিপরায়ন কিন্তু তাদের সাথে তর্কাতর্কি তে না যাওয়াই ভাল।
# টুরে অযথা বীরত্ব না দেখানোই উচিত, হয়তো কিছুই হবে না কিন্তু পাশের দেশের সীমান্তরক্ষীরা “কিছু করবে না” এই বিশ্বাস আমি করতে রাজি না।
# সিলেটে উগ্র ড্রেস পরা উচিত না। মনে রাখবেন আপনি যাচ্ছেন “৩৬০ আওলিয়ার শহরে”। ভদ্রতা বজায় রাখুন।
# জাফলং যান আর মাধবকুন্ড যান, যেখানেই যান, পানিতে আপনে নামবেনই, তাই কাপড় চোপড় সাথে রাখবেন। ভাড়াও পাবেন তবে নিজেরটাই ব্যবহার করা উচিত। সাঁতার না জানলে এসব স্থানে কখনও পানিতে নামা উচিত নয়।
# মাজারে যাবেন কিন্তু লক্ষ রাখবেন আপনার সব ভক্তি যেন আল্লাহর প্রতিই থাকে। সব আল্লাহর ইচ্ছায় হয়, মাজারে গিয়ে মাথা ঠেকাবেন না।
# টুরে যাবেন তো হালকা ড্রেস পরার চেষ্টা করুন। ভারি ড্রেসে আপনি সহজে মুভ করতে পারবেন না।
# অনুমতি না নেওয়া থাকলে চা-বাগানের বেশি ভিতরে ঢুকা উচিত না।
# কোন ছাইয়া পাবলিকদের দলে ভিরাবেন না, মনে রাখবেন, একজন স্বার্থপর টুর মেম্বার আপনার স্বাধের টুরের ১২টা বাজায় ফেলতে পারে।
# দয়া করে ভ্রমণের সময় সাথে অতিরিক্ত ব্যাগ রাখুন। চিপসের প্যাকেট, ক্যান,পানির বোতল ও সকল প্রকার ময়লা আবর্জনা ব্যাগের মধ্যে রেখে নিদৃষ্ট স্থানে ফেলুন।
আসুন সবাই মিলে বাংলাদেশটাকে সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখি।
যেকোনো প্রয়োজনে টুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ এর সাহায্য নিন।