বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করে প্রত্যেকের এই জায়গাটিতে অন্তত একবারের জন্যে হলেও যাওয়া উচিত, নয়তো আসলেই আপনি দারুণ একটি জিনিস মিস করবেন শিউর ।
কিভাবে যাবেন রাতারগুল –
ট্রেনে করে গেলে কমপক্ষে ৩ দিন আগে টিকেট কেটে রাখবেন, ঢাকার কমলাপুর বা এয়ারপোর্ট স্টেশন থেকে কাটলে ভাল হয়। আর বাসে গেলে ঢাকার সায়েদাবাদ ( শ্যামলী, হানিফ, এনা, আল বারাকা পরিবহন ) বা মহাখালী/ উত্তরার এনা পরিবহনের টিকেট কাটবেন ( রাতের বাস ধরবেন ১১ টা বা ১২ টার ) ; ঢাকা টু সিলেট, সময়- ৫ ঘণ্টা, ভাড়া- বাসে ৪৫০ থেকে ৭৫০ ( এ সি ), ট্রেনে ২০০ থেকে আনুমানিক ১০০০ টাকা। বাসে বা ট্রেনে যেটাতেই যান পরদিন রাতের ফিরতি টিকেট বুক করে বা কেটে রাখলে সুবিধে।
ভোরে সিলেট রেল স্টেশন বা বাস টার্মিনাল নেমে ফ্রেশ হয়ে সি এন জি ঠিক করবেন গোয়াইন ঘাট বাজার পর্যন্ত, সময়- ২ থেকে ২ ঘণ্টা ৩০ মি । ভাড়া- ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা।
বাজার থেকে ১০ টাকা রিক্সা ভাড়া দিয়ে ১৫ মি পর পৌঁছলেন ঘাটে।
ভাল ভাবে দর কষা কষি করে একটা ট্রলার ঠিক করবেন রাতারগুল হয়ে সালুটিকর ঘাট পর্যন্ত। ভাড়া- ৮৫০ থেকে ৯০০ টাকা। সময়- ১.৩০ – ১.৪৫ ঘণ্টা ( রাতারগুল পর্যন্ত )।
রাতারগুল বিটে নেমে একটা ডিঙ্গি নৌকা ঠিক করবেন বন ঘুরে দেখার জন্য। সময় – ২ থেকে ৩ ঘণ্টা ( মর্জির উপর ), ভাড়া- ৩০০- ৩৫০ টাকা।
আবার ডিঙ্গি করে ট্রলারের কাছে ফিরে এলে , এতে করে পথ ধরবেন শালুটিকর ঘাটের পানে।
শালুটিকর ঘাট থেকে একটা সি এন জি নিয়ে চলে যাবেন সিলেট শহরে । সময় – ১.৩০ ঘণ্টা। ভাড়া- ২৫০- ৩০০ টাকা।
( আপনি চাইলে ট্রলারে করে শালুটিকর ঘাটে না এসে পুনরায় গোয়াইন ঘাট নামতে পারেন ও আগের মত ফিরতি পথ ধরবেন।)
পোস্টটা উপকারী মনে হলে সবার সাথে শেয়ার করার অনুরোধ থাকলো, এতে অনেকেই আমাদের দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সম্পর্কে নতুন করে অনেক কিছুই জানতে সক্ষম হবে ।
বিঃদ্রঃ কোথাও ঘুরতে গেলে খেয়াল রাখবেন আপনার দ্বারা বা আপনার সাথে যারা যাবে তাদের দ্বারা উক্ত স্থানের কোন ধরণের যেন ক্ষতি না হয়, যে কোন ধরণের উচ্ছিষ্ট (প্যাকেট/বোতল) যেখানে যেখানে না ফেলে সাথে করে নিয়ে আসবেন ।
প্রকৃতির মাঝে আমরা ভ্রমনপ্রিয়রা সৌন্দর্য আহরণ করতে যাই, এটা অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিত যে- আমাদের দ্বারা যেন সেই প্রকৃতির সৌন্দর্য বিনষ্ট না হয় ।
(ছবিঃ মুস্তাফিজ জুয়েল, নিদাল, পরাগ আহমেদ)